মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের টেপুরা গ্রামে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মহিলাসহ ৭ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৪ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হামলাকারী স্বামী-স্ত্রী দুজনকে।
স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা গেছে, টেপুরা গ্রামের জহিরুল ইসলাম ফকির গংদের সঙ্গে একই এলাকার আনোয়ার হোসেন গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এ বিরোধের জের ধরে জহিরুল ইসলামের দেওয়া জমির আইল সীমানা পিলার প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন ও তার লোকজন ফেলে দেয়। জহিরুল ইসলাম ও তার মেয়ে লাকী বেগম সীমানা পিলার ফেলে দেওয়ার বিষয়টি দেখতে আজ (বুধবার) দুপুর ১টা দিকে ঘটনাস্থলে যায়। কেন জমির সীমানার পিলার উপড়ে ফেলা হয়েছে তা প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শাহেদা বেগমের কাছে জানতে চান।
এসময় এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শাহেদা বেগম লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জহিরুল ইসলামের (৬০) হাত ভেঙে তাকে আহত করে। পিতাকে রক্ষা করতে মেয়ে লাকী বেগম (৩৫) এগিয়ে আসলে তাকেও তারা পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়।
এসময় আহত পিতা ও কন্যার ডাক চিৎকারে জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আফরোজা বেগম (৫০), অপর কন্যা নিরোজা বেগম (৩৫) ও ভাইর ছেলে রাসেল (২৯) দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে হাত ভেঙে ও মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ঘটনায় হামলাকারী প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী সালেহা বেগম (৩৫) আহত হয়েছে।
আহতদের ডাকচিৎকারে স্বজন ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। আহতদের মধ্যে জহিরুল ইসলামকে আমতলী হাসাপতালে ভর্তি করা হলেও বাকী গুরুতর আহত নিরোজা বেগম, আফরোজা বেগম, রাসেল ও লাকী বেগমকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিউজ লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
আহত লাকী বেগম বলেন, জমিজমা নিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেনের বিরোধ চলে আসছে। জমির আইল সীমানা পিলার ফেলে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমাদেরকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে ও হাত ভেঙে দিয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাদিয়া রাখি মাটি বলেন, আহত জহিরুল ইসলামকে আমতলী ও গুরুতর আহত বাকী ৪ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহআলম হাওলাদার মুঠেফোনে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠনো হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হামলাকারী আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী সালেহা বেগমকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply